স্টাফ রিপোর্টার॥ নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও কয়েকটি দোকানে লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে গতকাল মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এরই জেরে দুপুর ১২টার দিকে উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
গুরুতর আহত অবস্থায় আলমগীর (৩০), লালন মিয়া (৩৫), মিছপা বেগম (২৮), রাহান মিয়া (১৪) কে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্যান্য আহতদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ও প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২১ মার্চ একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডার মাধ্যমে বিরোধের সূত্রপাত হয়। এরপর উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে এবং কয়েকবার সালিশের চেষ্টা করা হলেও তা ব্যর্থ হয় বলে জানা গেছে। সর্বশেষ ১৫ এপ্রিল স্থানীয় গণ্যমান্যদের মধ্যস্থতায় সমঝোতার উদ্যোগ নেয়া হয়, কিন্তু এর আগেই হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সাংবাদিক মুজিবুর রহমান বলেন, যুবলীগের স্থানীয় এক নেতার নেতৃত্বে তার বাড়িতে একাধিকবার হামলা ও লুটপাট চালানো হয়েছে এবং সালিশ অমান্য করে উস্কানিমূলক আচরণ করা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত পক্ষের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেন জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্থানীয়রা জানান, সংঘর্ষের সময় রুহুল মিয়া, আরিছ মিয়া ও নাহিদ মিয়ার তিনটি মুদির দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এলাকাবাসী পরিস্থিতি শান্ত রাখার আহ্বান জানিয়ে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনাতগঞ্জ বার্তা / ইকবাল
Leave a Reply