1. anjhonroy1@gmail.com : Anjhon Roy : Anjhon Roy
  2. admin@inathganjbarta.com : inathganjbarta :
  3. iqbalpress02@gmail.com : ইকবাল তালুকদার : ইকবাল তালুকদার তালুকদার
  4. manna820@gmail.com : আলী জাবেদ মান্না। : আলী জাবেদ মান্না।
  5. masudsikdar26@gmail.com : Masud Sikdar : Masud Sikdar
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন

তিন বছরেও সংস্কার হয়নি জগন্নাথপুরের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক

  • আপডেটের সময়: শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৩২ ভিউ

বার্তা ডেস্ক।। সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় ২২ ও ২৪ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৭০ কিলোমিটার সড়ক এখনো সংস্কার হয়নি। শুধু ২২ সালের বন্যায় উপজেলার ছোট-বড় গুরুত্বপূর্ণ ৮৫ কিলোমিটার সড়ক ব্রীজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রায় ১২ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত সড়কে সংস্কারের কাজ শুরু হলেও ৭০ কিলোমিটার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো এখনো সংস্কারের অনুমোদন হয়নি। এরমধ্যে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৯টি ব্রীজের টেন্ডার হয়েছে বলে উপজেলা প্রকৌশলীর অফিস সূত্রে জানা গেছে।

 

তিন বছরেও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এসব সড়ক গুলো সংস্কার না হওয়ায় যানবাহন ও জনসাধারণেকে চরম ভোগান্তি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। কলকলিয়া ইউনিয়নের কলকলিয়া -তেলিকোনা (চন্ডিঢহর) সাদিপুর পয়েন্ট সহ ২২ সালের বন্যায় প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব সড়কের বিভিন্ন অংশে ভাঙ্গন ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। জগন্নাথপুর-বেগমপুর সড়কের প্রায় ৭ কি:মি: সড়ক যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আছিমপুর – শিবগঞ্জ সড়ক, জালালপুর সড়ক, রানীগঞ্জ-বাগময়না সড়ক,সৈয়দপুর,শ্রীরামশী-নয়াবন্দর সাড়ে ৫কি:মি: সড়ক সহ উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর অবস্থা নাজুক। উপরোক্ত এলজিইডি’র বেশির ভাগ সড়কেই খানাখন্দ থাকায় যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী পড়ছে । এছাড়াও অধিকাংশ ইট সলিং ও মাটির রাস্তা ভাঙ্গাচোরা রয়েছে। বর্ষার মৌসুমে এসব সড়ক পথে যানবাহন চলাচলে ভোগান্তির শিকার হবেন জনসাধারণ।

 

পাইলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নজিম উদ্দিন বলেন, আমাদের এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো মধ্যে জগন্নাথপুর-বেগমপুর সড়ক, এই সড়কটির বিভিন্ন অংশ ভাঙ্গা ও ছোট বড়ো গর্ত রয়েছে, সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় উপজেলার সাথে আমাদের একটি অঞ্চলের মানুষের যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন, পাইলগাঁও ইউনিয়নে এলজিইডি’র অনেক গুলো সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত এখনো সংস্কার হয়নি। কলকলিয়ার দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিগত তিন বছর ধরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক একটিও সংস্কার করা হয়নি, প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তার মারাত্মক অবস্থা, ভাঙ্গা দিয়ে চলাচল করতে কষ্ট হয়, আমরা ভাঙ্গা সড়কের উপর বাদ্য হয়ে চলাচল করি।

 

 

মিরপুর ইউনিয়নের শ্রীরামসী গ্রামের মো. হাসন আলী বলেন, বছরের পর বছর যায়, শুধু শোনা যায় ভাঙ্গা সড়ক টেন্ডার হইছে, পরবর্তীতে আর কাজ হয়না, সামনে মেঘ বৃষ্টির দিন আসছে, ভাঙ্গা সড়কের গর্তে পানি জমে বিপদ জনক হবে।

রানীগঞ্জের বাগময়না গ্রামের লিলু মিয়া বলেন, আমাদের একমাত্র সড়কটি বন্যায় বারবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, তবে একবারও সংস্থার করা হয়নি, অনেক কষ্ট করে যানবাহনে আমাদের চলাচল করতে হয়।

কলকলি ইউনিয়নের দেলোয়ার হোসেন বলেন, ভাঙ্গা সড়কের উপর দিয়ে চলাচল করা আমাদের নিয়মে পরিনত হয়েছে, কলকলি থেকে চন্ডি ডহর পর্যন্ত সড়কে ছোট-বড় গর্তে বৃষ্টি হলে পানি জমে যায়, যানবাহনে ঝুঁকি নিয়ে আমাদের এলাকার জনসাধারণ কে যাতায়াত করতে হচ্ছে। উপজেলার ভুক্তভোগী জনসাধারণের দাবি আগামী বর্ষার মৌসুম আসার আগেই যেন ভাঙ্গা সড়কগুলো সংস্কার করা হয়।

 

জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন বলেন, ২০২২ সালে জগন্নাথপুর উপজেলায় প্রায় ৮৫ কি:মি: সড়ক ও কয়েকটি ব্রীজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০২২ সালেই এইসব ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার তালিকা করে সংস্কারের জন্য সদর দপ্তরে প্রেরণ করি, যেন দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা করা হয়। যেহেতু সিলেট বিভাগ সহ দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় বন্যায় সড়ক ও ব্রীজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়,সবকটি জেলার তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে প্রকল্প চালু করতে ২০২৩ সাল চলে আসে, এরমধ্যে জগন্নাথপুর উপজেলায় ৯টি ব্রীজ ও কিছু সড়ক সংস্কারের অনুমোদিত হয়, এই অনুমোদনের প্রক্রিয়ার মধ্যেই ২০২৪ সালের বন্যা চলে আসে, বন্যার কারণে সড়ক সংস্কারের কাজ গুলো আমরা পুরোদমে শুরু করতে পারিনি।

https://10ms.io/CvN08m

তিনি আরও বলেন, ২০২৫ সালে বেশকিছু সংস্কার কাজ অনুমোদিত হয়ে এসেছে এবং আমরা কাজ শুরু করেছি, পৌরসভা সহ উপজেলার চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নে ২ কি:মি:, জগন্নাথপুর-শিবগঞ্জ সড়কে ২.৫ কি:মি:, জগন্নাথপুর-কেশবপুর হয়ে এড়ালিয়া বাজার পর্যন্ত ৩ কি:মি: সড়কের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে, এড়ালিয়া থেকে লামা রসুলপুর পর্যন্ত ৪কি:মি: সড়কের টেন্ডার ঠিকাদার নিয়োগ হয়েছে। এভাবেই আমাদের বিভিন্ন সড়কের সংস্কার কাজ গুলো চলমান থাকবে, ক্ষতিগ্রস্ত ব্রীজ গুলোর টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে এবং টিকাকারও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, এবার বর্ষার আগে কাজ শুরু করতে না পারলেও বর্ষার পরপরই কাজ শুরু হবে।

 

দৈনিক ইনাতগঞ্জ বার্তা / ইকবাল

এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা অথবা ভিডিও কপি করা সম্পূর্ণ বেআইনি @2025
Desing & Developed BY ThemeNeed.com