বার্তা ডেস্ক :: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিএনপি ও অন্তর্বর্তী সরকারের চাওয়ার মধ্যে খুব বেশী পার্থক্য নেই, এই সরকার তো বলেনি ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে না। এজন্য আমরা বলেছি, আগামী নির্বাচন ডিসেম্বরের একটা তারিখ ধরে রোডম্যাপ ঘোষণা করা হোক।
(২১ এপ্রিল) সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বাংলাদেশ লেবার পার্টির নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকের পর তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী নির্বাচনসংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে নজরুল ইসলাম খান বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ডিসেম্বরের বেশি অপেক্ষা করার কারণ আমরা দেখি না। এ ব্যাপারে যদি কেউ ভিন্নমত পোষণ করে, তাহলে তাদের যুক্তি দিয়ে বলতে হবে, কেন এর বেশি সময় দরকার। সরকার বলেছে, ডিসেম্বর থেকে জুন। তার মানে কি? ডিসেম্বরে নির্বাচন হতে পারে। আমরা বলেছি, ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে, এটাকে ধরে একটা রোড ম্যাপ ঘোষণা করা হোক। সরকার বলছে, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। তার মানে তারা তো বলেনি, যে ডিসেম্বর নির্বাচন হবে না। পার্থক্য তো খুব বেশি না।
তিনি আরও বলেন, সরকারের কথা অনুযায়ী নির্বাচন ডিসেম্বরে হতে পারে, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারিতেও হতে পারে। কাজে আমাদের সঙ্গে সরকারের পার্থক্য তো বহু মাসের না। আমরা শুধু সরকারকে বলছি, এভাবে না বলে, তারিখ বলেন।
প্রশাসনে সব বিএনপির লোকজন বসে আছে, নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপি পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ করার বিষয়ে জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম খান বলেন, যিনি এ কথা বলেছেন তিনিও তো সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন। তাহলে তারা কি সব জায়গায় বিএনপির লোক বসাইছেন নাকি? বিএনপিকে তো প্রশাসন থেকে উৎখাত করা হয়েছে। বিগত সরকারের সময় কোথাও বিএনপির লোক ছিল না। যারা (আ. লীগের সময়) বৈষম্যের শিকার হয়েছিল, অন্যায় ভাবে যাদের সরিয়ে দেয়া হয়েছিল, চাকরিচুত্য করা হয়েছিল, তাদের ৭০০ মত অফিসার ১১৪ জন সচিবসহ ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে থেকে একজনকেও এখনও প্রদায়ন করা হয় নাই। তাহলে বিএনপির লোককে বসানো হলো কোথায়?
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান প্রমুখ।
Leave a Reply