স্টাফ রিপোর্টার।। সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার আম গাছগুলোতে মুকুল মকুলে ভরে গেছে। বসন্তের নানা ফুলের সঙ্গে সৌরভ ছড়াচ্ছে গাছে গাছে আমের মুকুল। আর এ মকুলের মিষ্টি ঘ্রাণে মৌ মৌ করছে প্রকৃতি। মনকে করে তুলছে প্রাণবন্ত।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) সরেজমিনে জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আম গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে মকুল আর মকুল। এ যেন হলুদ আর সবুজের মহামিলন। তবে আমের ফলন নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এ বছর আমের ফলন ভালো হবে আশা করছেন আম গাছের মালিকরা।
মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকুলে থাকয় মকুলে ভরে গেছে আম গাছ। গাছে পুরো মুকুল ফুটতে আরও কয়েক দিন লাগবে বলে জানান আম গাছের মালিকগণ। গত বছরের চেয়ে টনা শীত ও কুয়াশার তীব্রতা এ বছর অনেক কম ছিল। গতবারের মতো মৌসুমের শুরুতে শিলাবৃষ্টিও হয়নি এবং মাঝে-মধ্যেই আকাশে মেঘ জমে উঠছে।
এ সময় শিলাবৃষ্টি হলে আমের মুকুলের ক্ষতি হবে মনে করেন আম গাছ মালিকগণ। তাই আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক দূয্যোগ নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কাও কাজ করছে। পরিস্থিতি অনুকুলে থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে ইনশাআল্লাহ।
আম চাষি হাবিব জানান, পুরাপুরিভাবে এখনো সবগাছে মুকুল আসেনি। আর সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই সকল গাছেই মুকুল আসবে। ক্ষতিকারক পোকার আক্রমণ কম থাকায় এবার কাঙ্খিত ফলনের আশা করছেন চাষিরা।
জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাওছার আহমেদ বলেন, গাছে গাছে মকুল আসার ১৫ থেকে ২০ দিন আগেই তারা পুরো গাছ সাইপরম্যাক্সিন কীটনাশক দিয়ে ভালোভাবে স্প্রে করে গাছ ধুয়ে দিয়েছেন। এতে গাছে বাস করা হপার বা শোষকজাতীয় পোকাসহ আক্রমন থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। যদি সঠিক সময়ে হপার বা শোষক পোকা দমন করা না যায় তাহলে আমের ফলন কমে যেতে পারে বলে মনে করি। উপজেলায় ১০০ হেক্টর জমিতে বশতবাড়ী আঙ্গীনা ও একক বাগানে আমের আবাদ হয়েছে। প্রকৃতি অনুকুলে থাকে বাম্পার ফলন হবে ইনশাআল্লাহ।
দৈনিক ইনাতগঞ্জ বার্তা / ইকবাল
Leave a Reply