বার্তা ডেস্ক।। হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় বোরো ধানে বিভিন্ন রোগে আক্রমণে চাষিরা দুশ্চিন্তায় আছেন। এ ছাড়া ধানে মাছি পোকা, মাইন পচা রোগও দেখা দিয়েছে। ফলে ধানের ভালো ফলন নিয়ে শঙ্কায় আছেন চাষিরা।
লাখাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে এবছরে বোরো ধানের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১১২০৮ হেক্টর ( হাওড় ৮৩৩২ হেক্টর ও ননহাওড় ২৮৭৬ হেক্টর)। আশা করি এবছর বোরো আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।। উল্লেখযোগ্য জাত সমুহ ব্রিধান-১০৪, ৯২,৮৯,৮৮ ইত্যাদি, বিনা ধান- ২৫ এছাড়া হাইব্রিড হীরা, এসএল ৮, ব্রাক-৩, শক্তি-১, সুরভী-১ এ বছর চাষাবাদ হচ্ছে
লাখাই উপজেলার ওর অঞ্চল বেষ্টিত ১নং ইউনিয়নের বিভিন্ন বোরোখেত ঘুরে দেখা যায়, ধানগাছে ডিগ দিচ্ছে, ক্ষেতে অনেক ধানের ছাড়া আকারে ছোট, বোরো ধানে মাজরা ও এক ধরনের পোকা ধানের মাইন কেটে দিচ্ছে, অনেক জায়গায় পোকা পাতা ছিদ্র করছে। এ ছাড়া ধানের পাতা শুকিয়ে বাদামি রং ধারণ করছে। উপজেলার কৃষি অফিসের পরামর্শ মতো কীটনাশক ছিটিয়েও ফল পাচ্ছেন না কৃষকেরা।
স্থানীয় কয়েকজন চাষি জানান, দুই-তিন সপ্তাহের পোকার আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষায় জমিতে কীটনাশক ছিটিয়েও তেমন কাজ হচ্ছে না। এবছর বোরো উৎপাদন ব্যাহত হবে।
উপ কৃষি কর্মকর্তা অমিত ভট্টাচার্য বলেন জিংক এর অভাবজনিত কারনে এমন হয়ে থাকে। কৃষকরা জমিতে সব ধরনের সার ব্যবহার করতে চায়না। সুষম মাত্রায় সব ধরনের সার ব্যবহার করলে সমস্যা হতো না। বর্তমানে জমিতে জৈব সার ব্যবহার করে না। উদাহরন হিসাবে বলা যায় মাটিতে যদি টিএসপি সার ব্যবহার না করে ফসফরাস অভাব জনিত লক্ষন দেখা দেবে,গাছ খাদ্য পাবেনা শিকড় বৃদ্ধি পাবেনা। ইউরিয়া না প্রয়োগ করলে নাইট্রোজেন ঘাটতি জনিত সমস্যা হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান মিজান বলেন, মাছি পোকার আক্রমণ থেকে ধানগাছ রক্ষায় কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া পোকা দমনে প্রতিটি ইউনিয়নে কৃষি বিভাগের লোকজন কাজ করছেন।
লাখাইয়ের কৃষক বেশী দামে সার কিনে ও ভেজাল বীজ ক্রয় করে কৃষকরা ক্ষতির শিকার হচ্ছে। মেসার্স সুনীল এন্টারপ্রাইজ প্রোঃ সুনীল দেবনাথ বি.সি, আই.সি. অনুমোদিত সারের ডিলার মেসোর্স চাঁদ এন্টারপ্রাইজ প্রোঃ প্রদীপ রায় বি.সি, আই.সি. অনুমোদিত সারের ডিনারা বিগত সরকারের আমলে অবৈধভাবে সার কালোবাজারে বিক্রি সহ বিভিন্ন অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে, বিগত সরকারের এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এর ছত্রছায়ায় দাপটের সাথে অবৈধভাবে স্যার বিক্রি করে ব্যবসা করে আসছে।
বুল্লাবাজার,মোড়াকরি ও লাখাই বাজার ঘুরে দেখা যায় মূল্য তালিকায় প্রতি বস্তা ইউরিয়ার দাম ১৩৫০টাকা হলেও বিক্রয় হচ্ছে ১৪০০ টাকা পর্যন্ত,ডিএপি সার ১০৫০ টাকার স্থলে ১২৫০ টিএসপি ১৩৫০ টাকার স্থলে ১৫০০ টাকা এবং এমওপি ১০০০ টাকা না নিয়ে বিক্রয় করছে ১১৫০ টাকা পর্যন্ত।
লাখাই টাউনশিপ বাজারের বিএডিসির ডিলার বিপ্লব স্টোর থেকে স্থানীয় কৃষকেরা হীরা ২ ধান বিজ কিনে জমিতে রোপন করলে, ঐ ধান বীজ থেকে চারা গজায়নি।
অনেক কৃষকেরা জানান, তাদের বীজ পচে কালো হয়ে নষ্ট হয়ে গেছে।যার ফলে সময় মত জমিতে ধান চাষ করতে পারবে না।
কৃষকরা বলেন, পুরাতন বীজ ক্রয় করে বেশি দামে বিক্রি করছেন বিপ্লব ষ্টোর।লাখাই স্বজন গ্রামের সৈয়দ হোসেনের ছেলে কৃষক আন্জব আলী জানান, আমি বিপ্লব স্টোর থেকে হীরা ২ ধানবীজ ক্রয় করেছিলাম, আমার ধান থেকে চারা গজায়নি এবং সব ধান কাল হয়ে পচে গেছে।
লাখাই স্বজন গ্রামের মৃত আব্দুল বারেকের ছেলে কামাল মিয়া বলেন, আমিও কিছুদিন আগে বিপ্লব স্টোর থেকে হীরা ২ ধান বীজ ক্রয় করেছিলাম আমার ধান সব নষ্ট হয়ে গেছে। ধান থেকে কোন চারা গজায়নি।
এ ব্যাপারে চাঁদ এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটার ও বিপ্লব স্টোরের প্রোপাইটার প্রদীপ রায় কে জিজ্ঞেস করলে, তিনি বলেন কোম্পানি থেকে ক্রয় করে এনেছি, এর বেশী আমি কিছু জানি না।কোম্পানির নাম জিজ্ঞেস করলে বলেন, গণ চীনের হাইব্রিড সুপ্রিম সীড কোম্পানি।
Leave a Reply