1. admin@inathganjbarta.com : inathganjbarta :
  2. iqbalpress02@gmail.com : ইকবাল তালুকদার : ইকবাল তালুকদার তালুকদার
  3. manna820@gmail.com : আলী জাবেদ মান্না। : আলী জাবেদ মান্না।
  4. masudsikdar26@gmail.com : Masud Sikdar : Masud Sikdar
সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৪১ অপরাহ্ন

বোম্বাই মরিচ যেন ‘টাকার মেশিন

  • আপডেটের সময়: শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ২৯ ভিউ

বার্তা ডেস্ক।। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কুমির মারা গ্রামের মো. সোহেল হাওলাদার। ঢাকায় বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। ছুটিতে গ্রামে গেলে মো. জাকির হোসেন নামের এক কৃষকের পরামর্শে বোম্বাই মরিচের চাষ শুরু করেন তিনি।

 

 

ওই বছরই লাভের মুখ দেখেন সোহেল। সময়টা ছিল ২০১৮ সাল। পরে ২০২২ সালে ঢাকার চাকরি ছেড়ে গ্রামে স্থায়ী হন। নিজেকে যুক্ত করেন বাণিজ্যিকভাবে বোম্বাই মরিচ চাষে। ২০২২ সালে ৫০ হাজার টাকা খরচ করে ২ লাখ টাকা বিক্রি করেছিলেন তিনি। এখন পর্যন্ত তিনি লেগে আছেন বোম্বাই মরিচ উৎপাদন কাজে। তার দেখাদেখি ওই এলাকার অনেক যুবক চাকরির পেছনে না ছুটে বোম্বাই মরিচ চাষ শুরু করেছেন। ফলে শত পরিবার যুক্ত হয়ে পড়ছে বোম্বাই মরিচ উৎপাদন কাজে।

 

স্থানীয়ভাবে বোম্বাই মরিচ নামে পরিচিত থাকলেও দেশে নাগা মরিচ নামেই চেনে। এই বোম্বাই মরিচ চাষ করেই অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে এ গ্রামের শত পরিবার। কম টাকা ব্যয়ে অধিক লাভবান হওয়া যায় বলে বোম্বাই মরিচ চাষির সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এই এলাকার কৃষকরা টাকার মেশিন মনে করে বোম্বাই মরিচকে।

 

 

কৃষকরা জানান, পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কুমিরমারা গ্রামের প্রতিটি ঘরেই একজন করে বোম্বাই মরিচ চাষি রয়েছে। সাধারণত সারা দেশে কাঁচামরিচের চাষ হলেও কুমিরমারা গ্রামে প্রচুর আধুনিক পদ্ধতিতে বোম্বাই মরিচ চাষ করা হয়। বাঁশ কিংবা লোহার পাইপ দিয়ে কাঠামো তৈরি করে তার ওপর পলিথিন শিট দিয়ে ঢেকে দেন। এ শেটের নিচে চলে মরিচ আবাদ। এতে তাদের খুব বেশি খরচ না হলেও লাভ অনেক বেশি। বর্তমানে পাইকারি বাজারে তারা প্রতি পিস বোম্বাই মরিচ ৩-৪ টাকায় বিক্রি করছেন বলে জানান এখানকার কৃষকেরা।

 

জানা যায়, উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষকরা যে মরিচ উৎপাদন করেন, তা তাদের স্থানীয় পাখিমারা বাজারেই বিক্রি করে থাকেন। এখান থেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা কিনে নিয়ে যান। নীলগঞ্জের এ বোম্বাই মরিচ ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক চাহিদাও আছে। কৃষকদের প্রতিদিনের বাজার করার টাকা বোম্বাই মরিচ বিক্রি করেই মিটিয়ে থাকেন। তারা আর্থসামাজিক পরিবর্তন করতে পেরেছেন বোম্বাই মরিচ চাষ করে। বাজারের ব্যাগে করে ১ ব্যাগ মরিচ বাজারে নিয়ে গেলে সারা সপ্তাহের প্রয়োজনীয় বাজার ক্রয় করে টাকা অতিরিক্তও থাকে। বেকার বসে না থেকে বোম্বাই মরিচ চাষ করার আহ্বান জানান এখানকার কৃষকরা।

 

 

বোম্বাই মরিচ চাষি মো. নূরে আলম হাওলাদার বলেন, এবার ১৫ শতাংশ জমিতে বোম্বাই মরিচ চাষ করছি। আমার খরচ হয়েছে ১ লাখ। এখন পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ৩ লাখ। আরও বিক্রি করতে পারব বলে আশা করছি। এটা লাভজনক। এখন তেমন দাম পাওয়া যায় না। বর্ষা মৌসুমে একটা বোম্বাই মরিচ ৯ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে পারি।

https://websites.co.in/refer/168184

 

মো. ইউনূস হাওলাদার বলেন, কম খরচে বেশি লাভবান হওয়া যায় বোম্বাই মরিচে। তবে বেশি লাভ পাই বর্ষাকালে। তখন দূর দূরান্ত থেকে পাইকাররা আমাদের কাছ থেকে মরিচ ক্রয় করে নিয়ে যায়।

 

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আরাফাত হোসাইন বলেন, আধুনিক কৃষির সঙ্গে নীলগঞ্জের কৃষকরা সরাসরি সম্পৃক্ত। তারা অসময়ে ফসল ফলিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। বিশেষ করে সেডের মাধ্যমে বোম্বাই মরিচ চাষে বিপ্লব ঘটিয়েছে। বর্ষা মৌসুমে উৎপাদন বেশি হয় এবং দামও বেশি পায় কৃষকরা। ২ শতক জমি থেকে ১ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারে। আমরা সব সময় পাশে থেকে পরামর্শ দিয়ে থাকিব।

 

 

দৈনিক ইনাতগঞ্জ বার্তা / ইকবাল

এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা অথবা ভিডিও কপি করা সম্পূর্ণ বেআইনি @2025
Desing & Developed BY ThemeNeed.com