নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রমজান মাস শুরু হওয়ার পর থেকে নবীঞ্জে তরমুজের চাহিদা কয়েকগুণ বেড়ে গেছ।বিশেষ করে গেল কয়েকদিনের প্রচণ্ড গরমের কারণে বাজারে তরমুজের প্রতি মানুষের আগ্রহ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।প্রতিদিন দুপুরের পর থেকে ইফতারের আগে পর্যন্ত ক্রেতারা তরমুজের দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন। নবীগঞ্জ পৌর শহরের গাজীর টেক, স্কুল রোড ও মধ্যবাজার এলাকায় তরমুজ বিক্রেতা ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোজার শুরুতে বাজারে তরমুজের সরবরাহ থাকলেও চাহিদা তুলনামূলক কম ছিল। তবে গেল ৩-৪ দিনের প্রচণ্ড গরমে এবং ইফতারিতে তরমুজের জনপ্রিয়তার কারণে হঠাৎ করেই এর চাহিদা বেড়ে গেছে। বাজারে বর্তমানে বড় ও মাঝারি আকারের তরমুজের পরিমাণ বেশি দেখা যাচ্ছে।ছোট আকৃতির তরমুজ ১৫০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, মাঝারি তরমুজ ৩০০-৪০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে, আর বড় তরমুজের দাম ৫০০ টাকার বেশি।
ক্রেতাদের অভিযোগ, গরমের কারণে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বিক্রেতারা অতিরিক্ত মুনাফার আশায় দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। নবীগঞ্জ পৌর শহরের বাসিন্দা আতিকুল নাঈম আহমদ বলেন, “রমজান মাসে তরমুজের চাহিদা বাড়ে, সেটি স্বাভাবিক।
তবে কিছু ব্যবসায়ী বেশি লাভের আশয় দাম বাড়াচ্ছেন। প্রশাসনের উচিত বাজার মনিটরিং বাড়ানো। রোজার শুরুতে কিছুটা তদারকি দেখা গেলেও এখন আর তা চোখে পড়ছে না।আরেক ক্রেতা সুমন বলেন, “কিছু বিক্রেতা ইচ্ছেমতো দাম নিচ্ছেন। একেক দোকানে একেক দাম। যা একেবারেই অনৈতিক। অন্যদিকে,ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, পাইকারি বাজারেই তরমুজের দাম বেশি, যার প্রভাব খুচরা বাজারে পড়েছে। কয়েকজন বিক্রেতা জানান, নবীগঞ্জের বেশিরভাগ ব্যবসায়ী শ্রীমঙ্গল,সিলেট ও ভৈরব থেকে তরমুজ সংগ্রহ করেন। পাইকারদের কাছ থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, এর সঙ্গে পরিবহন খরচ, লেবার খরচ ও কিছু তরমুজ নষ্ট হওয়ায় খুচরা দামে তার প্রভাব পড়ছে।
এক বিক্রেতা বলেন, এবার তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে, কিন্তু বাজারে কিছু সিন্ডিকেট থাকায় পাইকারি দামে তেমন পার্থক্য আসেনি। তবে গেল বছরের তুলনায় এবার দাম কিছুটা কম।
তবে ক্রেতারা মনে করছেন, চাহিদা বাড়ার সুযোগ নিয়ে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। তারা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন, যাতে সাধারণ মানুষ ন্যায্য মূল্যে তরমুজ কিনতে পারেন।
Leave a Reply