মাসুদ আহমদ শিকদারঃ অসংখ্য গর্তে ভরপুর নবীগঞ্জের কাজীগঞ্জ বাজার টু মার্কুলীর সড়ক যেন মরনফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা, বিকল হচ্ছে নতুন পুরাতন গাড়ি। ঝুঁকি আর দুর্ভোগ এ সড়কে চলাচলকারী কয়েক হাজার মানুষের নিত্যসঙ্গী। কাজীগঞ্জ বাজার টু মার্কুলির ১৭ কিলোমিটার সড়ক এমন বেহাল দশা দীর্ঘদিনের। এতে চরম ভোগান্তি আর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন সড়কটিতে চলাচল করছেন উপজেলার হাজারো মানুষ। সড়কের অবস্থা যেন মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন যাত্রীবাহী সিএনজি, ইজিবাইক ও মালবাহী বিভিন্ন ধরনের ট্রাক, পিকআপ, মোটরসাইকেল, অ্যাম্বুলেন্সসহ শত শত গাড়ি চলাচল করে। ব্যস্ততম এই সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এর কারণে প্রতি নিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনাও। বিকল হচ্ছে যানবাহন । কয়েক দফায় গর্তের ভাঙন মেরামত করা হলেও বিগত বছর খানেক যাবত সড়কটির বিভিন্ন অংশের খানাখন্দ বেড়ে সড়কটি এখন দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্ষা মৌসুম শুরু হলে বৃষ্টিতে আরও বাড়বে সড়কের ভাঙন। এতে চরম ভোগান্তি বাড়বে হাজারো মানুষের। সরেজমিনে দেখা যায়, কাজীগঞ্জ বাজার হতে মার্কুলী পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন অংশে বেহালদশার কারনে মানুষের চলাচলের অনিহা প্রায় । রাস্তার এ কারণে দ্বিগুন ভাড়া দিয়ে গাড়ি আনতে হয়। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে হাজার মানুষ ও সবধরণের পরিবহণ। সিজিল মিয়া নামে একজন জানান, প্রতিদিন সড়কটি দিয়ে বিভিন্ন স্থানে আমাদের যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু সড়কের এমন বেহাল দশায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাচ্ছি। পূর্ব বড় ভাকৈর ও পশ্চিম বড় ভাকৈর ইউনিয়ন এর বাসিন্দাদের একাধিক ব্যক্তি জানান, বর্তমানে সড়কটির যে বেহাল দশা তাতে রিকশা, সিএনজি বা যেকোনো পরিবহনে উঠতেই ভয় হয়। কখন কোথায় দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। এমনকি জরুরি মুহূর্তে কোন রোগী নিয়ে উপজেলা শহর বা জেলা শহরে যেতে হলে অনেক সময় সড়কের এমন দশায় পরিবহণ মেলানো দায় হয়ে পড়ে। সিএনজি চালক মুজাক্কির মিয়া বলেন, এই সড়ক দিয়ে যাত্রী নিয়ে নবীগঞ্জ ও জেলা শহরে যাওয়া আসা করতে হয় আমাদের। দুর্ভোগের পাশাপাশি সড়কের গর্তের কারণে গাড়ির যন্ত্রাংশ নষ্ট হয় বেশী।
এ বিষয়ে উপজেলা উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
Leave a Reply