1. anjhonroy1@gmail.com : Anjhon Roy : Anjhon Roy
  2. admin@inathganjbarta.com : inathganjbarta :
  3. iqbalpress02@gmail.com : ইকবাল তালুকদার : ইকবাল তালুকদার তালুকদার
  4. manna820@gmail.com : আলী জাবেদ মান্না। : আলী জাবেদ মান্না।
  5. masudsikdar26@gmail.com : Masud Sikdar : Masud Sikdar
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১৩ পূর্বাহ্ন

নারী বিশ্বকাপের মূলপর্বে বাংলাদেশ

  • আপডেটের সময়: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১৪ ভিউ

খেলাধুলা ডেস্ক।। থাইল্যান্ডের দেওয়া ১৬৭ রানের টার্গেট ১০ দশমিক ৫ ওভারে শেষ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে দুর্দান্ত মারকুটে এই ব্যাটিংটাও এদিন কাজে লাগলো না তাদের। নেট রানরেটে এগিয়ে থেকে বাংলাদেশ চলে গেল নারী বিশ্বকাপের মূলপর্বে। এই ম্যাচের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ নারীদের নেট রানরেট ০.৬৩। আর বাংলাদেশের নেট রানরেট ০.৬৪।

অধিনায়ক হেইলি ম্যাথিউস কিংবা শ্যানেল হেনরি লড়েছিলেন শেষ পর্যন্ত। কিন্তু সেটা যথেষ্ট হলো না। ১১তম ওভারের ৫ম বলে চার এবং ৬ষ্ঠ বলে ছক্কা হলেই কেবল বিশ্বকাপে যেত ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু সরাসরি ছয় হাঁকানোর ফলে ম্যাচ জিতলেও সেটা আর উইন্ডিজ নারীদের পক্ষে থাকেনি।

নিজেদের ম্যাচে বাংলাদেশ দিনের শুরুতে হেরে গিয়েছিল পাকিস্তানের কাছে। তারপরেও আশার প্রদীপটা একেবারেই নিভে যায়নি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের নারীদের হার কিংবা নেট রানরেটে পিছিয়ে থাকা জ্যোতির দলকে পৌঁছে দেবে বিশ্বকাপে– এটাই ছিল সমীকরণ।

সেই কাজটা অনেকটাই সহজ হয়ে যায় থাইল্যান্ডের ব্যাটার নাত্তাখাম চাংথামের কল্যাণে। তার এক ফিফটিতে ভর করে উইন্ডিজ নারীদের বিপক্ষে থাইল্যান্ডের স্কোর হয়েছিল ১৬৬। থাইল্যান্ডের ইনিংস অবশ্য শেষ হতে পারতো আরও অনেক আগেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের নারীদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে একসময় ৮৫ রানেই ৭ উইকেট হারায় থাইল্যান্ড। চারে নামা চাংথাম একাই ছিলেন প্রাচীর হয়ে। খেলেছেন ৬৬ রানের ইনিংস।

 

শেষদিকে থাই নারীদের আর কেউই দুই অঙ্কের ঘরে যেতে না পারলেও বলের পর বল খেলে গিয়েছেন, আর সেটাই বাংলাদেশের স্বপ্নটা উজ্জ্বল করেছে বিশ্বকাপের দৌড়ে।

 

বহু জটিলতার পর জানা যায়, ১০.১ ওভারে ১৬৭ রান করতে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। সেটা ১১ ওভার পর্যন্ত যেতে পারে। সেক্ষেত্রে স্কোর থাইল্যান্ডের সমান ১৬৬ করতে হবে। এরপরেই দরকার ১ ছক্কা। ১১ ওভারে ১৭২ রান হলেও বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে টপকে চলে যেত ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

 

দুই ক্যারিবিয়ান ওপেনার হেইলি ম্যাথিউস আর কিয়ানা জোসেফ ছিলেন দুর্দান্ত আগ্রাসী। ১২ বলে ২৬ করে কিয়ানা থামলেও অধিনায়ক হেইলি ছুটছিলেন দুর্বার গতিতে। ৭ম ওভারের শেষ বলে থামে তার ২৮ বলে ৭০ রানের ইনিংস। বাংলাদেশের স্বপ্নটাও উজ্জ্বল হয় তখন।

 

কিন্তু তিনে নামা শ্যানেল হাল ছাড়ার নন। ১৭ বলে ৪৮ রান করেছেন। উইন্ডিজ নারীদের চার-ছয়ের কাছে তখন বাংলাদেশের দর্শকরা অসহায়। প্রতিটা ডট বল যেন টাইগ্রেসদের জন্য আশীর্বাদ।

 

১০.১ ওভারে উইন্ডিজের সংগ্রহ ছিল ১৫৭। পরের বলেই বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন শ্যানেল হেনরি। আলিয়াহ অ্যালেইনে প্রথম বলে চার মেরে জমিয়ে দেন সমীকরণ। পরের বলে সিঙ্গেলস হয়ে স্ট্রাইকে আসেন স্টেফেন টেইলর। উইন্ডিজের রান ছিল ১৬২। এই সময় ১ চারে ১৬৬ এবং ১ ছক্কায় ১৭২ রানই নিতে পারতো তাদের বিশ্বকাপে।

 

কিন্তু স্টিফেন টেইলরের হাঁকানো বল সরাসরি মিড অফের ওপর দিয়ে চলে যায় বাউন্ডারি লাইনের ওপারে। ছক্কা হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করলেও বিশ্বকাপটা উইন্ডিজ নারীরা মিস করে যায় ০.০১ রানরেটের জন্য। আর সেই ১ বলের সমীকরণ মিলিয়ে বাংলাদেশের ঠাঁই হলো নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপে।

 

দৈনিক ইনাতগঞ্জ বার্তা / ইকবাল

এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা অথবা ভিডিও কপি করা সম্পূর্ণ বেআইনি @2025
Desing & Developed BY ThemeNeed.com