1. anjhonroy1@gmail.com : Anjhon Roy : Anjhon Roy
  2. admin@inathganjbarta.com : inathganjbarta :
  3. iqbalpress02@gmail.com : ইকবাল তালুকদার : ইকবাল তালুকদার তালুকদার
  4. manna820@gmail.com : আলী জাবেদ মান্না। : আলী জাবেদ মান্না।
  5. masudsikdar26@gmail.com : Masud Sikdar : Masud Sikdar
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪২ পূর্বাহ্ন

বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরেছে চা বাগানে, দেখা মিলছে নতুন কুঁড়ির

  • আপডেটের সময়: মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫
  • ২১ ভিউ

স্টাফ রিপোর্টার।। দীর্ঘ খরার পর বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরেছে শ্রীমঙ্গলের চা বাগানগুলোতে। চা গাছে দেখা মিলছে নতুন কুঁড়ির। পাতার রঙও সবুজে ছেয়ে গেছে। এতে করে কিছুটা সহনীয় হয়ে এসেছে চা বাগানের পরিবেশ।

চলতি মাসের শুরুর দিকে খরায় অনেকটা পুড়েঁ গিয়েছিল বাগানের অধিকাংশ চা গাছ। এতে করে চা উৎপাদন শুরুর মৌসুমেই শ্রীমঙ্গলসহ জেলার ৯২টি চা বাগানে কমে যায় চা উৎপাদনের গতি। তবে ৪-৫ দিনের বৃষ্টিপাতে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটতে শুরু করেছে।

চা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘ খরা পরিস্থিতির পর এই বৃষ্টি যেন আর্শীবাদ হিসেবেই নেমেছে। সাধারণত ডিসেম্বর মাসে কয়েক পসলা বৃষ্টিপাত হয়। এবার ডিসেম্বর, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি মাসে বৃষ্টি হয়নি।

শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জানান, শ্রীমঙ্গলে গত বুধবার ২৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টিপাত আরও বাড়বে।

https://10ms.io/xvfHJ3

ফিনলে চা বাগানের টি প্লান্টাররা জানান, চায়ের উৎপাদনসহ বিভিন্ন সুবিধার জন্য চা বাগানে বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে গাছগুলো ছাঁটাই (প্রুনিং) করা হয়। খরায় পানির অভাবে ছাঁটাই করা চা গাছে দেখা দিয়েছিল রুক্ষ-শুষ্কভাব। বৃষ্টির অভাবে রুক্ষ বাগানে নতুন পাতা দেখা যাচ্ছিল না খুব একটা। কৃত্রিম সেচ দিয়েও মেলেনি কোনো প্রতিকার। এর মাঝে বিভিন্ন পোকামাকড়ের আক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সামান্য যা কুঁড়ি-পাতা ছিল তাও আক্রান্ত হতে শুরু করে।

সাতগাঁও, ইছামতি, ভাড়াউড়া, জেরিন, ফুলছড়াসহ বিভিন্ন চা বাগান ঘুরে দেখা যায়, বাগানজুড়ে সবুজের সমারোহ। কচি পাতা এসেছে গাছগুলোতে। নতুন করে গাছে কুঁড়ি গজানোয় খুশি বাগানের শ্রমিকরা।

ইস্পাহানী জেরিন চা বাগানের উপ-মহাব্যবস্থাপক সেলিম রেজা জানান, বছরের শুরুতে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় চা পাতার উৎপাদন অনেকটা পিছিয়ে পড়েছিল। খরা প্রথম দিকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল। তবে এখন কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।

https://10ms.io/tvfH2v https://10ms.io/SvdyTk

বাংলাদেশীয় চা সংসদের (বিসিএস) সিলেট অঞ্চলের চেয়ারম্যান ও ফিনলে টি ভাড়াউড়া ডিভিশনের জিএম গোলাম মোহাম্মদ শিবলি জানান, দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় ও তাপমাত্রা বেশি থাকায় উৎপাদন কমে গিয়েছিল। এই বৃষ্টিপাতের ফলে চা গাছগুলো সজীবতা ফিরে পেয়েছে

বাংলাদেশ চা বোর্ড প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের পরিচালক এ কে এম রফিকুল হক জানান, বৃষ্টিপাত চায়ের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষভাবে নতুন চা গাছের জন্য বেশি উপকারী। বৃষ্টি হওয়ায় প্রকৃত চা গাছগুলো দ্রুত গজাবে এবং কুঁড়ি ছাড়বে।

 

দৈনিক ইনাতগঞ্জ বার্তা/ ইকবাল

এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা অথবা ভিডিও কপি করা সম্পূর্ণ বেআইনি @2025
Desing & Developed BY ThemeNeed.com