হবিগঞ্জ প্রতিনিধি।। হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে ১১ বছর বয়সী এক শিশুকে দলবদ্ধ ধর্ষণ এবং ঘটনার ভিডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ভাই চুনারুঘাট থানায় গেলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামলা না নিয়ে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে তিনি গতকাল সোমবার তিনজনের নাম উল্লেখসহ চারজনের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। বিচারক মুমিনুল হাসান মামলাটি আমলে নিয়ে চুনারুঘাট থানাকে এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দরিদ্র পরিবারের শিশুটি স্থানীয় বাগানে ঘাস খাওয়াতে নিয়মিত ছাগল নিয়ে যেতে। ৩ এপ্রিল দুপুরে ওই বাগানে আগে থেকে ওত পেতে থাকা ইকরতলী গ্রামের সফিক মিয়া, বাপ্পি মিয়া, মনির মিয়া ও অজ্ঞাতপরিচয় আরেকজন গলায় ছুরি ধরে শিশুটিকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় মোবাইল ফোনে পুরো ঘটনার ভিডিও ধারণ করা হয়। সেই সঙ্গে বিষয়টি কাউকে জানালে শিশুটিকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
শিশুটি ভয়ে পরিবারের কাউকে আর ঘটনাটি জানায়নি। কিন্তু এর মধ্যে ভিডিওটি বিভিন্নজনের কাছে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এটি ১৬ এপ্রিল তার ভাইয়ের নজরে আসে। পরে শিশুটি পুরো ঘটনা খুলে বললে পরিবারের লোকজন তাকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেই সঙ্গে বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে কোনো সমাধান মেলেনি। উল্টো অভিযুক্তরা ভুক্তভোগীর পরিবারকে নানা রকম হুমকি দিচ্ছিলেন। পরে চুনারুঘাট থানায় গেলে মৌখিকভাবে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। যে কারণে গতকাল আদালতে মামলা করা হয়।
ভুক্তভোগীর ভাই বলেন, ‘ঘটনা জানাজানি হলে ওই যুবকেরা আমাদের বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। যে কারণে মামলা করতে সময় লেগেছে।’
বাদীপক্ষের আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুমিনুল হাসান অভিযোগ আমলে নিয়ে চুনারুঘাট থানাকে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করি।
মামলা না নেওয়ার বিষয়ে চুনারুঘাট থানার ওসি নূর আলম বলেন, ‘তারা আদালতে অভিযোগ জমা দিয়েছে থানায় এসেছিল। যে কারণে আমি বলছি আদালতে মামলা করতে। একসঙ্গে দুই জায়গায় অভিযোগ নেওয়া যায় না।
দৈনিক ইনাতগঞ্জ বার্তা/ ইকবাল
Leave a Reply