ইনাতগঞ্জ বার্তা ডেস্কঃ মাথার ওপর কাঠফাটা রোদ। বাসা থেকে বের হলেই অনুভূত হয় আগুনে উত্তাপ। এবার বৈশাখ তার উপস্থিতি বেশ ভালোভাবেই জানান দিচ্ছে। সময়ে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গরমের তীব্রতা। অনেকে আবার শরীর ঠান্ডা রাখতে উত্তপ্ত অবস্থায় খান ঠান্ডা পানীয়।
তাপের তীব্রতা সহ্য করতে না পেরে, অনেকে বাহির থেকে ফিরে সরাসরি গোসল করে থাকে। এটি সাময়িক সময়ের জন্য স্বস্তিদায়ক হলেও শরীরের জন্য ডেকে আনে ভয়াবহ ক্ষতি। ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম ওঠে আসে এসব তথ্যতবে চলুন জেনে নেওয়া যাক গরমে বাইরে থেকে ফিরেই গোসল, শরীরের জন্য যে ক্ষতি ডেকে আনছেন-
গরম থেকে ফিরে সঙ্গে সঙ্গে গোসলরোদে ঘামতে ঘামতে শরীর যখন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, তখন অনেকেই বাসায় ফিরে তড়িঘড়ি করে ঠান্ডা পানি ঢেলে দেয় গায়ে। অথচ এই আচমকা ঠান্ডা ছোঁয়ায় শরীরের ভেতরের তাপমাত্রা দ্রুত নেমে যায়, যা শরীরের জন্য মারাত্মক ধাক্কা হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা এই হঠাৎ পরিবর্তনের ঝুঁকিতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হন। এছাড়াও দেখা দিতে পারে নানা শারীরিক জটিলতা।
করণীয় কীঃ রোদ থেকে ফিরে সোজা পানিতে ঝাঁপ দেওয়ার আগে একটু ধৈর্য ধরুন। প্রথমে ঠান্ডা কোনো ঘরে বা ফ্যানের হাওয়ায় বসে শরীরকে শান্ত হতে দিন, ঘাম শুকাতে দিন। অন্তত ২০ থেকে ৩০ মিনিট সময় দিন শরীরকে নিজের ছন্দে ফিরতে। তারপর গোসল করুন—তবেই শরীরের তাপমাত্রা নিরাপদ সীমায় থাকবে, কোনো ঝুঁকি ছুঁয়ে যেতে পারবে না।
গরমে কেমন পানি দিয়ে গোসল করবেনঃ রোদ থেকে ঘেমে ফেরার পর অনেকে তড়িঘড়ি করে বরফ ঠান্ডা পানি খেয়ে ফেলেন বা সেই ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করেন। অথচ এই অভ্যাস শরীরের ওপর চাপ ফেলে, ক্ষতি ডেকে আনে। বরং এ সময় চেষ্টা করুন হালকা গরম কিংবা স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানিতে গোসল করতে। এতে শরীরের ভেতরের ও বাইরের উত্তাপের ভারসাম্য রক্ষা পায়, ঠান্ডা লাগার ঝুঁকিও অনেকটাই কমে যায়।
মাথায় ঠান্ডা পানি নয়ঃ বিশেষজ্ঞদের মতে—রোদে উত্তপ্ত শরীরে হঠাৎ ঠান্ডা পানি ঢাললে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতায় ঝাঁকি লাগে। কখনো কখনো মাথা ঘুরে পড়েও যেতে পারেন, এমনকি অজ্ঞান হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাই হুট করে গোসল নয়; ধীরে ধীরে শরীর ভিজান। পা থেকে শুরু করে একটু একটু করে শরীরের ওপরের দিকে পানি দিন, যেন শরীর প্রস্তুতি নিতে পারে এই পরিবর্তনের।
Leave a Reply